আন্তর্র্জাতিক ডেস্ক: নদিয়ায় ৭০০ একর জমিতে ইসকনের মন্দির ও তীর্থস্থান গড়ে উঠবে৷ তার জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য সরকার৷ পাশাপাশি কোলাঘাটে গড়ে উঠবে সনাতনী ধর্মের একটি তীর্থস্থান৷ সোমবার নবান্ন থেকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
এদিন নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন৷ বাংলার মহাতীর্থ ভুমি,মহাপূর্নভূমি নিয়ে ম্যাপ তৈরি হচ্ছে৷ সেই তালিকা থেকে কোনটা সরকার গ্রহন করবে, কোনটা বেসরকারি বা মালিকানা থাকবে,তা পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷
বাংলার গ্রামগঞ্জে অনেক পুরানো মন্দির,মসজিদ, গির্জা ও অন্যান্য ধর্মীয় স্থান রয়েছে৷ যেগুলো কেউ দেখাশোনা করে না৷ এরমধ্যে অনেকগুলো ছিল মালিকানাধীন৷ কিন্তু এখন আর কেউ নেই৷ সেইসব মহা তীর্থ ভূমি,মহা পূণ্যভূমি নিয়ে ম্যাপ তৈরি হচ্ছে৷
এছাড়া পুজোর আগে বড় ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সনাতন ধর্মের দরিদ্র ব্রাক্ষণদের মাসে এক হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন তিনি৷ এছাড়া ,ধাপে ধাপে বাংলা আবাস যোজনায় ঘরও করে দেওয়া হবে৷
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সনাতন ধর্মের ব্রাক্ষণদের মধ্যে অনেকেই আছেন অতি দরিদ্র৷ তাদের আবেদনের ভিত্তিতে, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রতি মাসে এক হাজার টাকা সাম্মানিক দেওয়া হবে৷ পুজোর মাস থেকেই মিলবে এই সাম্মানিক৷
এছাড়া যাদের ঘর নেই, তাদের বাংলা আবাস যোজনায় ঘর করে দেওয়া হবে৷ এবং কোলাঘাটে একটি জমি দেওয়া হয়েছে৷ সেখানে সনাতনী ধর্মের একটি তীর্থস্থান গড়ে উঠবে৷ পাশাপাশি সব ধর্মের মানুষের পাশেই সরকার রয়েছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী৷
সোমবার নবান্নে গ্লোবাল উপদেষ্টা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এবার খোলামেলা মণ্ডপ তৈরির জন্য পুজো কমিটিগুলিকে অনুরোধ করব। মণ্ডপে অঞ্জলি দিতে ভিড় হয়। মণ্ডপ খোলামেলা হলে আলো-বাতাস চলাচলের জায়গা থাকবে। জীবাণু থাকলেও তা বেরিয়ে যাবে। মণ্ডপে শুধুমাত্র ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা থাকলেই এবার হবে না।’’
আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পুজো কমিটির কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে রাজ্য সরকার। করোনা আবহে ঝুঁকি এড়িয়ে কীভাবে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা যায় তা নিয়ে হবে আলোচনা। পুজো কমিটির কর্তাদের মতামত শুনবে রাজ্য সরকার।
মতিহার বার্তা ডট কম: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.